Announcements

আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম প্রসঙ্গে

প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল এর শিল্পবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম প্রসঙ্গে
একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিকতায় শিল্প ও সংস্কৃতির ভূমিকা কেমন হবে তা অন্বেষণ করছে প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল এর শিল্পবিষয়ক প্রচারমাধ্যম আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম।
একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিকতায় শিল্প ও সংস্কৃতির ভূমিকা কেমন হবে তা অন্বেষণ করছে প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল এর শিল্পবিষয়ক প্রচারমাধ্যম আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম।

এই রচনাটি লেখায় পৃথিবীর নানা দেশের বিভিন্ন শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মী সাহায্য ও সমর্থন করেছেন, তাদের প্রত্যেকেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আন্তর্জাতিকতাবাদী সংগ্রামে শিল্প ও সংস্কৃতির গুরুত্ব সম্মন্ধে সচেতন।

অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যিখানে শিল্প এবং আমরা

আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম বিশ্বব্যাপী একটি স্থানীয় উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত , যার মূল আমাদের সমাজ, মাটি ও এর মধ্যে নিহীত ইতিহাসে গ্রোথিত, যা সাম্য ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত আমাদের মিলিত সংগ্রামকে সমর্থন করে । গ্রহজুড়ে বহুজাতীয় সংহতি তৈরি করে আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেবে আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম যা আমাদের সাধারণ সংগ্রাম এবং আকাঙ্ক্ষাকে রূপ দিতে সহায়তা করবে।

আন্তর্জাতিকতা - অতীতে এবং আজও সাধারণ অধিকারের জন্যই যৌথ পরিচালনা ও যত্নে শিল্প ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করে, আমাদের সাম্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের স্বার্থেই। পৃথিবীকে বদলানোর জন্য আমাদের পরিবর্তনের কথা ভাবা উচিত এবং একে নতুন রূপ , স্পর্শ, শব্দ, স্বাদ, অনুভূতি ও সময় দিতে হবে। আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প ও সংস্কৃতি জীবনের সমতাবাদী রূপগুলি নিশ্চিত করতেই বৈষয়িক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে উস্কে দেয়। এটি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরেরই একটি অংশ যার প্রয়োজন বিশ্ব তীব্রভাবে অনুভব করছে।

বিশ্বায়িত পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বর্তমানে অধিকাংশ শিল্পকর্মই ব্যবসায়িক মজুদ বা ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হয়েছে [i5] এবং বাণিজ্যিকভাবে সবচে সফল শিল্পীরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। শিল্পে আকর্ষণীয় করের সুবিধাগুলোর ফায়দা লুটে পৃথিবীর এক শতাংশ মানুষ একে তাদের জন্য একটি লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগে পরিণত করেছে। আমরা মানুষ হিসেবে, নামমাত্র গণযাদুঘর ও প্রদর্শনীগুলোতে এই শিল্পকর্মগুলোর সামান্য কিছুমাত্র উপভোগের সুযোগ পাই যেখানে এসবের অধিকাংশই অতি-ধনীদের ফ্রিপোর্ট(করমুক্ত বন্দর) এবং ব্যক্তিগত প্রাসাদে মজুদ হয়ে আছে যাতে সাধারণ মানুষের কোনো প্রবেশাধিকার নেই ।

ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশের কাছে পুঞ্জীভূত এই শিল্প ও সংস্কৃতি তাদের বিশ্বের অংশ, আমাদের নয়। নয়া বিশ্বের জন্য যে শিল্প ও সংস্কৃতি আমরা চাই তার প্রকৃতি হবে আন্তর্জাতিকতাবাদী, সাধারণ্যে প্রচলিত এবং সামাজিক। এটিই আমাদের সামাজিক আন্দোলনের বৈষয়িক সংস্কৃতি, ক্ষমতার বিরুদ্ধে পাল্টা ভাষা যা আমাদের সনির্বন্ধ , বহুত্ববাদী "আমরা" হিসেবে অক্ষুণ্ণ রেখেছে । আমাদের মিলিত সংগ্রাম থেকে জন্ম নেয়া এই শিল্প গ্রহজুড়ে জনগণের সংহতি ও ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তুলবে । কেবল আমরা কে তা নিশ্চিত করার জন্য নয়, বরং আমাদের এখনো যা হওয়া বাকি -নতুন পৃথিবী নির্মাণে ব্যস্ত মানুষের স্বপ্ন দেখার জন্য।

আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প ও সংস্কৃতি আন্তর্জাতিকবাদী সংগ্রামের মাধ্যমেই বিকশিত হয়, যা স্থান এবং সময় নির্দিষ্ট। এসব সংগ্রামে আমাদের সমাজ রূপান্তরের রূপরেখা কল্পনা করেন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা, আদিবাসীদের আত্ম নিয়ন্ত্রণের অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে শুরু করে , সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, নাগরিক অধিকার এবং কালোদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন , শ্রমিক শ্রেণিকে একতাবদ্ধ করার সংগ্রাম , ফ্যাসিবাদবিরোধী , বর্ণবাদবিরোধী এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী প্রতিরোধ, নারীবাদ, এলজিবিটিকিউআইএ+ আন্দোলন, রাষ্ট্রবিহীন জাতিসমূহের অধিকার প্রতিষ্ঠা , অবৈধ অভিবাসী এবং শরণার্থী সংগঠন, প্রতিবন্ধী অধিকার বা জলবায়ু পরিবর্তন রোধ পর্যন্ত। যদিও এসব আন্দোলনের প্রতিটির স্বতন্ত্র প্রেক্ষাপট রয়েছে, এদের মাধ্যমে অর্জিত যেকোনো বিশেষ পরিবর্তনই পৃথিবী বদলানোর পথে একেকটি নতুন ধাপ রচনা করে।

শিল্প ও সংস্কৃতি সর্বদাই অতীত ও বর্তমানের অন্যায়গুলো দৃশ্যমান করা এবং নতুন ও নায্য ভবিষ্যতকে রূপ দেওয়ার জনপ্রিয় প্রচেষ্টার অংশ ছিল। আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম বিপ্লবী শৈল্পিক এবং সাংস্কৃতিক কল্পনারই অংশ, যার মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্পের নিজস্ব ফর্ম তৈরি করতে চাই , পাশাপাশি তৈরি করতে চাই শিল্প সৃষ্টি, সাংস্কৃতিক বিতরণ এবং এদের উদার বিনিময়ের অবকাঠামো।

চারপাশে ঘটমান অন্যায়গুলো চিহ্নিত করা এবং পৃথিবীকে নতুনভাবে কল্পনা করার ক্ষমতা আমাদের প্রত্যেকের অন্তর্গত। বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়গুলোকে সাধারণ উদ্দেশ্যে একত্র করার সাথেসাথে এটি আমাদের একাত্মবোধ এবং যে বাস্তবতার মধ্যে আমরা বসবাস করছি তার সাথে গঠনমূলক সম্পর্কে জড়িত হওয়ার প্রবণতাকে শক্তিশালী করে। আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প ও সংস্কৃতি কেবল আমাদের অতীত ও বর্তমানে ক্ষমতার বিপরীতে এই প্রতিরোধ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে তা-ই নয় বরং আন্তর্জাতিক, বহুজাতীয়, গ্রহজোড়া,পার্থিব, সাধারণ এবং বিশ্বজনীন যে সংহতি আমরা একসাথে মিলে তৈরি করছি তার মাধ্যমে অভূতপূর্ব এক মানবসম্প্রদায় গঠনের স্বপ্ন দেখা।

কার্যক্ষেত্রে আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম

আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য-

১. শিল্পের গণীভূতকরণ শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের যোগ্যতা অবশ্যই যথাযথভাবে স্বীকৃত হবে, তবে শিল্প,

সংগীত এবং থিয়েটারের মুক্তির অভিজ্ঞতা ও আনন্দ লাভের সুযোগ সকলের জন্য অবারিত হতে হবে। সাধারণ মানুষের শৈল্পিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করার জন্য, এবং নতুন শিল্প সৃষ্টিতে অংশ নেওয়ার পথের যে কোনও ধরণের বাধা অপসারণ করা জরুরি, কারণ এসব ক্রমাগত সম্মিলিতভাবেই সংজ্ঞায়িত হয়। তাই আমাদের লক্ষ্য গণমুখী শিল্প ও সংস্কৃতি বিকশিত করা যা একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিকতাবাদকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে (ডিজিটাল) প্রতীক, পোস্টার, ভিডিও, প্রকাশনা ও গণ প্রকল্প এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে , যা বিনামূল্যে সবার জন্য অবারিত, উপভোগ্য ও অধ্যয়নযোগ্য হবে। আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতি আমাদের সংহতির মতোই সুদূর পর্যন্ত পৌঁছাতে চায় এবং এর জন্য আমরা অনলাইন এবং অফলাইনে উদার সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানকে উৎসাহিত করব।

২. পিআই সদস্যদের এবং সম্মিলিত প্রচারণায় সহযোগিতা

শিল্প ও সংস্কৃতি সংগ্রামের অংশ। পরিবর্তনের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রথমে পরিবর্তনের কথা চিন্তা করতে হবে। সুতরাং, শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা যারা সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের জন্য গণ আন্দোলনের সাথে জড়িত, একত্রিত বা এর দ্বারা অনুপ্রাণিত, তারাই এই আন্দোলনের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়। গণ আন্দোলনের সামষ্টিক প্রগতিশীলতাই আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প এবং সংস্কৃতির জন্ম দেয়, প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল এর অংশ হিসেবে আমরা বিশ্বজুড়ে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, ইউনিয়ন, আদিবাসী সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন ও এদের মিত্রদের গুরুত্বপূর্ণ ও যৌথ শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে চাই।

৩. আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প ও সংস্কৃতির জন্য শিক্ষণীয় দিক অন্বেষণ

আদিবাসীদের সংগ্রাম , উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, নাগরিক অধিকার এবং কালোদের মুক্তির আন্দোলন, বর্ণবাদবিরোধী, শ্রমিক শ্রেণি, নারীবাদী, এলজিবিটিকিউআইএ +, বিকলাঙ্গ শরণার্থী অধিকার, পরিবেশগত আন্দোলন এবং এবং রাষ্ট্রবিহীন জাতিগুলোর দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতি থেকে আমরা শিখতে এবং তাতে অবদান রাখতে চাই, এর মাধ্যমে তৈরি করতে চাই আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্পের নতুন ও বহুত্ববাদী ধারণা । তথাকথিত ব্যক্তিকেন্দ্রিক আধুনিক শেতাঙ্গ পুরুষকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট শিল্পের মতো শিল্পের ইউরোপীয় ধারণাসমূহ থেকে পৃথক পারস্পরিক শিক্ষা এবং আন্তঃসংযোগমূলক বর্ণনার ধারণাসমূহ অনুসন্ধান ও পরীক্ষা করতে চাই।

৪. প্রগতিশীল জনসংগঠনগুলোর মধ্য মৈত্রী স্থাপন

অনেক সংগ্রহশালা, থিয়েটার এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কর্তৃত্ববাদী ও নয়া-উদারবাদী সরকার ও কর্পোরেশন কর্তৃক চাপের শিকার হয়। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রগতিশীল কর্মীদের আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প ও সংস্কৃতির সৃজন, প্রচলন, গবেষণা এবং শিক্ষাদানে সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই। এর মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য সামাজিক মালিকানা, পরিচালনা এবং যত্নে শিল্প ও সংস্কৃতির একটি আন্তর্জাতিক অবকাঠামো নির্মাণ।

৫. সাংসদদের বর্ণবাদ, পুরুষতান্ত্রিকতা ও ফ্যাসিবাদ বিলোপ

সাম্রাজ্যবাদ,উপনিবেশবাদ, ফ্যাসিবাদের এর বর্ণবাদী ও পুরুষতান্ত্রিক ধারণা সবসময়ই আদিবাসী, কালো [VG 14] এবং মিশ্র বর্ণের মানুষ, শ্রমজীবী, নারী, এলজিবিটিকিউআইএ + সম্প্রদায়, রাষ্ট্রবিহীন জাতিসমূহ, শরণার্থী, অভিবাসী এবং ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষদের সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্ম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে ক্ষমতার পুনর্বিভাজন, উপনিবেশিক শোষণের ক্ষতিপূরণ, কোটা বা নির্দিষ্ট সংরক্ষণের মাধ্যমে সকলের সমান প্রতিনিধিত্ব ও কর্তৃত্ব নিশ্চিতকরণের দাবি জানানোর মাধ্যমে বিউপনিবেশায়ন ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে অবদান রাখতে চাই। আমরা পশ্চিমা শিল্প ইতিহাসের উৎপাদিত আধিপত্যকে প্রত্যাখ্যান করে বিশ্বব্যাপী জনগণের লড়াইয়ের ফলে সৃষ্ট উপনিবেশবাদ ও পুঁজিবাদ বিরোধী বৈচিত্র্যময় ও বহুত্ববাদী শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে গ্রহণ করতে চাই। আমরা যেকোন প্রকারের কর্তৃত্ববাদী উদ্দেশ্য শিল্পের ব্যবহার প্রতিহত করি।

৬. সংস্কৃতিকর্মীদের অধিকার রক্ষা

শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মীরা তাদের কাজের মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করেন। তাই তাদের কাজের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে, তাদের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক এবং সমাজের অন্যান্য সদস্যদের মতোই প্রয়োজনীয় সামাজিক সূবিধা নিশ্চিত করতে হবে । আমরা বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতি কর্মীদের সংগঠনগুলোকে আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম আহবান জানাই যেন আমরা মিলিত ভাবে সবার জন্য মাতৃত্ব-পিতৃত্বকালীন ছুটি ও অবসর পরবর্তী সুযোগসুবিধাসহ নায্য মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষালাভের অধিকার আদায় করতে পারি।

৭. সামাজিক আন্দোলন বজায় রাখা

আমরা প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল সদস্য ও মিত্র সংগঠনগুলোকে সাহায্য করার জন্য সারাবিশ্বের শিল্পী ও সংস্কৃতি আমন্ত্রণ জানাই। আমরা এমন এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি যেখানে শিল্প হবে বাজারের প্রভাবমুক্ত। জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা তহবিল সংগ্রহকারীদের সংগঠিত করব যেন তারা প্রয়োজনে আমাদের দরকারি সংস্থান এবং আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে অক্সিজেন যোগাতে পারেন।

আন্তর্জাতিকতাবাদী শিল্প ও সংস্কৃতি যেমনিভাবে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে বহু পৃথিবীকে কল্পনা ও রূপ দেওয়ায় অবদান রাখে, তেমনি আমাদের নীতিগত রণকৌশল সম্বলিত এই পাঠ্যটি আর্ট অফ ইন্টারন্যাশনালিজম প্ল্যাটফর্মে শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির সাথে ধারাবাহিকভাবে রূপান্তরিত হতে থাকবে। এই পাঠ্যটি দ্বি-বার্ষিক ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনা ও সংশোধন করা হবে।

---

মুসা আসারিদ(Moussa Ag Assarid) একজন লেখক, গল্পকথক, সাংবাদিক এবং একটিভিস্ট। সাহারার তিমবুক্তু এবং গাও এর মাঝামাঝি অংশে তার জন্ম। তার কয়েকটি বইয়ের মধ্যে Children of the Sand: A Tuareg School (2008) অন্যতম। তিনি বর্তমানে উত্তর আফ্রিকায় সৌর শক্তির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছেন। সাহারা এবং সাহেল(Sahel, Azawad) অঞ্চলে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তিনি kel Tamasheq (Tuareg), Songhai, Fula, and Arab peoples এর মত জোটের অংশ ছিলেন।

জেডেনকা বডভিনাক(Zdenka Badvinac) একজন কিউরেটর এবং লেখক। ১৯৯৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তিনি ল্যুব্লিয়ানার(Ljublijana, MG+MSUM) Moderna Galerija এর পরিচালক ছিলেন। তার সম্প্রতি প্রকাশিত বইয়ের নাম 'Comradeship: Curating, Art, and Politics in Post-Socialist Europe' যা Independent Curators International (ICI) ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশ করেছে। তিনি দ্য মিউজিয়াম কনফেডারেশন লা ইন্টারন্যাশিওনালের(The museum confederation L’Internationale) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

লিবিয়া ক্যাস্ত্রো(Libia Castro)(স্পেন) এবং ওলাফ ওলাফস্সন(Ólafur Ólafsson)(আইসল্যান্ড),১৯৯৭ সাল থেকে একত্রে কাজ করছেন। তারা মূলত রটারডামে(Rotterdam) বসবাস করেন, রিকজাভিক(Reykjavik) এবং মালাগা(Málaga) শহরও তাদের কাজের ক্ষেত্র। তারা দুজনই কোলাবোরেটিভ এবং মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিল্পী, তাদের কাজের ধরণ অনাড়ম্বর এবং সমালোচনামূলক সামাজিক ও রাজনৈতিক বক্তব্যপূর্ণ। তারা বিভিন্ন এক্টিভিস্ট গ্রুপের সাথে যুক্ত এবং শিল্পী, নানা পেশা ও স্তরের লোকেদের শিল্প ও এক্টিভিজমের জন্য একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।

'শ্যতো দেলা( Chto Delat- কী করতে হবে?) কালেক্টিভ' সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরের কিছু শিল্পী, সমালোচক, দার্শনিক এবং লেখক মিলে ২০০৩ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠা করেন রাজনৈতিক তত্ত্ব, শিল্প এবং এক্টিভিজমকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যে।

'ফিলিপিন্সের উদ্বিগ্ন শিল্পীগোষ্ঠী(The Concerned Artists of Philippines,CAP) ফিলিপিনি শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীদের একটি সংগঠন যা অভিব্যক্তির স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে সহায়তা করে।। লিনো ব্রোকা(Lino Brocka), একজন জাতীয় চলচ্চিত্র শিল্পী এর সহপ্রতিষ্ঠাতা।

ফিলিস্তিনের 'ডিজআর্মিং ডিজাইন'(Disarming Design) একটি চাঞ্চল্যকর ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ফিলিস্তিনের সমকালীন বিভিন্ন নকশার বিকাশ ও উপস্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা দখলদারীত্বে থাকা ফিলিস্তিনীদের একটি বিকল্প চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে এবং প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডে অবদান রাখে।

চালর্স এসচে(Charles Esche) একজন কিউরেটর, লেখক,Democracy in Europe Movement 2025 (DiEM25) এর একজন সদস্য এবং নেদারল্যান্ডের আইন্দোভেন শহরে অবস্থিত ভ্যান অ্যাবে জাদুঘরের(Van Abbemuseum) পরিচালক। এই প্রতিষ্ঠানটি দ্য মিউজিয়াম কনফেডারেশন লা ইন্টারন্যাশিওনালের(The museum confederation L’Internationale.) সদস্য, যা ছয়টি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের একটি সমবায়।

এটসেটেরা(Etcétera) একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সংগঠন যা প্রতিষ্ঠিত হয় বুয়েন্স আয়ার্সে ১৯৯৭ সালে। ২০০৫ সালে আরও কিছু শিল্পী এবং এক্টিভিস্টদের সাথে মিলে তারা আন্তর্জাতিক এররিস্ট আন্দোলনের(International Errorist Movement) সূচনা করে, যারা ভুল বা ত্রুটিকে জৈবনিক দর্শনের একটি অংশ বলে দাবি করেন।

ইলিয়ানা ফোকিয়ানাকি(iLiana Fokianaki) একজন লেখক ও কিউরেটর যিনি এথেন্স ও রটারডামে বাস করেন। ২০১৩ সালে তিনি State of Concept Athens প্রতিষ্ঠা করেন, প্রথম অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা গ্রীক ও আন্তর্জাতিক শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড প্রচার করে।

ভার্শা গান্ধীকোটা-নেল্লুটলা(Varsha Gandikota-Nellutla) ভারতের হায়দ্রাবাদের একজন নারীবাদী এক্টিভিস্ট। তিনি ব্লুপ্রিন্টের সমন্বয়ক এবং প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনালের একজন ক্যাবিনেট সদস্য।

কুইনসি গ্যারিও(Quinsy Gario) একজন শিল্পী, তার জন্ম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, যা ডাচ উপনিবেশাধীন ছিল। বিউপনিবেশি ইতিহাস ও রীতি অনুসন্ধান তার কাজের ক্ষেত্র। তার সবচেয়ে আলোচিত কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম 'Zwarte Piet Is Racise'(২০১১-২০১২) যা বর্ণবাদী ডাচ চরিত্র এবং 'Zwarte Piet'(Black Pete) নামক রীতির সমালোচনা।

পল গুডউইন(Paul Goodwin) একজন লন্ডনস্থ। কিউরেটর, গবেষক এবং নগর তাত্ত্বিক। আফ্রিকান ডায়াসপোরার শিল্প এবং সংস্কৃতি, বহুজাতিক শিল্প, নগরায়ন তার আগ্রহের বিষয়। অধ্যাপক গুডউইন ইউনিভার্সিটি অফ আর্টস লন্ডনের কনটেম্পোরারি আর্ট অ্যান্ড আরবানিজম( Contemporary Art & Urbanism) এর চেয়ার এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েরই গবেষণা কেন্দ্র ট্রান্সন্যাশনাল অার্ট, আইডেন্টিটি অ্যান্ড নেশন (TrAIN,Transnational Art, Identity & Nation) এর পরিচালক।

দাইয়ার হেসো(Diyar Hesso) একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিক্ষক, প্রযোজক, সংগঠক, বিপ্লবী ফিল্ম তাত্ত্বিক এবং রোজাভা ফিল্ম কমিউনের(Rojava Film Commune) সহ-প্রতিষ্ঠাতা। রোজাভা পশ্চিম কুর্দিস্তানে(উত্তর সিরিয়া) অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। তিনি 'The End Will be Spectacular' (Ersin Çelik dir., 2019) চলচ্চিত্রের প্রযোজক এবং 'Stories of Destroyed Cities' (Sêro Hindê, 2016) চলচ্চিত্রের চিত্রনির্দেশক।

মারিয়া হ্লাভাজোভা(Maria Hlavajova) ২০০০ সাল থেকে BAK, basis voor actuele kunst, Utrecht এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং শিল্প নির্দেশক। ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তিনি FORMER WEST এর গবেষণা ও শিল্প নির্দেশক ছিলেন। হ্লাভাজোভা এপর্যন্ত BAK এবং এর বাইরেও অনেকগুলো প্রকল্প সংগঠনে কাজ করেছেন, যেমন সিরিজ- Propositions for Non-Fascist Living (২০১৭ থেকে চলছে), Future Vocabularies (২০১৪-২০১৭) এবং New World Academy (শিল্পী জোনাস স্তালের সঙ্গে, ২০১৩-২০১৬).

মারিয়া ইনেস প্লাজা লাজো(María Inés Plaza Lazo) একজন লেখক, শিল্প সমালোচক এবং কিউরেটর। তিনি আর্টস অফ দ্য ওয়ার্কিং ক্লাস( Arts of the Working Class) এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তিনি L’Union des Refusés এরও প্রতিষ্ঠাতা, একটি আমলাতন্ত্রবিরোধী বৈশ্বিক সংগঠন(The Hologram, Cassie Thornton, 2020),, গ্রীক সলিডারিটি ক্লিনিক দ্বারা অনুপ্রাণিত এই সংগঠনটি যৌথ উদ্যোগ ও শিল্পীদের সাহায্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য কাজ করছে। তিনি বার্লিন এবং ইকুয়েডরের গুয়ায়ালাকুইলে বসবাস করেন।

লিসা ইতো(Lisa Ito) একজন লেখক, কিউরেটর এবং সংস্কৃতি কর্মী। তিনি Concerned Artists of the Philippines (CAP) এর সেক্রেটারি জেনারেল যা প্রগতিশীল শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মীদের ফিলিপিন ভিত্তিক একটি সংগঠন।

Komîna fîlm a Rojava (Rojava Film Commune) ২০১৫ সালে রোজাভা বিপ্লবের ছায়ায় স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। কমিউনট চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শন করেন, স্থানীয় নির্মাতাদের সাহায্য করে, এবং উক্ত অঞ্চলে চলচ্চিত্র সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে নতুনদের প্রশিক্ষণ দেয়।

সভেন ল্যুটিকেন(Sven Lütticken) আমস্টারডামের Vrije Universiteit এবং ডাচ আর্ট ইনস্টিটিউটে( Dutch Art Institute) শিল্প তত্ত্ব এবং শিল্পের ইতিহাস পড়ান। তিনি সিক্রেট পাবলিসিটিঃ এসেইজ অন কনটেম্পোরারি আর্ট(Secret Publicity: Essays on Contemporary Art, ২০০৬), আইডলস অফ দ্য মার্কেটঃ মডার্ণ আইকনোক্লাজম এন্ড দ্য ফান্ডামেন্টালিস্ট স্পেক্টাকল (Idols of the Market: Modern Iconoclasm and the Fundamentalist Spectacle, ২০০৯), হিস্ট্রি ইন মোশনঃ টাইম ইন দ্য এজ অফ মুভিং ইমেজ( History in Motion: Time in the Age of the Moving Image, ২০১৩), এবং কালচারাল রেভ্যুলুশনঃ এস্থেটিক প্র্যাকটিস অাফ্টার অটোনমি( Cultural Revolution: Aesthetic Practice after Autonomy, ২০১৭) এর মতো বইগুলোর লেখক।

মার্চ(MARCH) একটি আন্তর্জাতিক শিল্প এবং কৌশল বিষয়ক জার্নাল, সারিতা হান (Sarrita Hunn) এবং জেমস ম্যাকেনলি(James McAnally) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং এটি দ্য লুমিনারি(The Luminary,St. Louis) কর্তৃক প্রকাশিত। সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যু সম্পর্কিত লেখা মার্চ প্রকাশ করে।

গোলরোখ নাফিসি(Golrokh Nafisi) একজন ইলাস্ট্রেটর, অ্যানিমেটর এবং পাপেট নির্মাতা যিনি জনসমক্ষে গণনাট্যের নতুন ফর্ম অনুসন্ধানের লক্ষ্যে নানা কাঠামো ও আদর্শ নিয়ে কাজ ও পরীক্ষানিরীক্ষা করেন।

নট এন অলটার্নেটিভ(Not An Alternative) ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সামষ্টিক ও অলাভজনক সংগঠন যা শিল্প, এক্টিভিজম এবং তত্ত্বে আন্তসম্পর্ক নিয়ে কাজ করে। ঘটনা, প্রতীক, প্রতিষ্ঠান এবং ইতিহাস সম্মন্ধে প্রচলিত বোঝাপড়ায় পরিবর্তন আনা তাদের লক্ষ্য। শিল্প, স্থাপত্যকলা, রাজনৈতিক সংগঠন ইত্যাদির নানা সরঞ্জাম ব্যবহার করে সমালোচনামূলক গবেষণার মাধ্যমে তারা বস্তুগত ও অবস্তুগত জগত নিয়ে কাজ করেন।

আহমেত ওগুত(Ahmet Öğüt) এর বসবাস এবং কাজের ক্ষেত্র আমস্টারডাম ও ইস্তাম্বুল। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোক্তা ও শিল্পী হিসেবে তিনি ক্রমাগত শিল্পের দুনিয়ার বাইরের লোকদের তার কাজে যুক্ত করেন, মাইগ্রেশান থেকে শুরু করে গণ অসন্তোষের মতো জটিল সামাজিক ইস্যুগুলোকে ব্যাখ্যার চমকপ্রদ উপায় খোঁজেন।

গ্যাব্রিয়েল সিলভেইরা(Gabriel Silveira) একজন বার্সেলোনা ভিত্তিক ব্রাজিলীয় ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং লেখক। তিনি কন্ট্রা(Contra) এর প্রতিষ্ঠাতা, একটি ক্রিয়েটিভ এজেন্সি যা নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সাহায্য প্রদান করে থাকে।

কুবা সজ্রেডার(Kuba Szreder) ওয়ারশতে বসবাসকারী একজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট কিউরেটর, লেখক এবং লেকচারার। তিনি Consortia of Postartists এর সাথে কাজ করেন ও শিল্পকর্মীদের নানা সংগ্রামে যুক্ত হন।

জোনাস স্তাল(Jonas Staal) এথেন্স ও রটারডামস্থ একজন শিল্পী। শিল্প, গণতন্ত্র এবং প্রোপাগান্ডার পারস্পরিক সম্পর্ক তার কাজের বিষয় ।তিনি নিউ ওয়ার্ল্ড সামিটের(New World Summit) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং DiEM25 ও স্বায়ত্তশাসিত রোজাভা(Rojava) সরকারের মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে কাজ করেন।

পোল্যান্ডের দি অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ইয়ার( The Anti-Fascist Year) কিছু গণসংগঠন, এনজিও, সামাজিক আন্দোলন, শিল্পীগোষ্ঠী এবং এক্টিভিস্টদের মাধ্যমে দেশব্যাপী চালিত একটি উদ্যোগ। এর লক্ষ্য হচ্ছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী এক্টিভিস্ট ও যারা অতীতে ফ্যাসিবাদের বিরোধীতা করেছেন তাদের একত্রিত করা এবং পাবলিক ডোমেইনগুলোতে ফ্যাসিবাদী, নব্য ফ্যাসিবাদী ধরণের আদর্শের প্রচার ঠেকানো।

উই সেল রিয়েলিটি( We Sell Reality) একটি ওপেন-সোর্স উদ্যোগ যা বিভিন্ন পণ্য, ইনস্টলেশনের মাধ্যমে শরণার্থীদের জীবন সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং গণ সাহায্যের মাধ্যমে শরণার্থীদের মানবেতর অবস্থার উন্নতির জন্য কার্যকর উপায় খোঁজার চেষ্টা করে।

হোয়াট, হাউ অ্যান্ড ফর হুম(What, How & for Whom/WHW) ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাগরেব এবং বার্লিনস্থ একটি কিউরেটরিয়াল কালেক্টিভ। এর সদস্যরা হলেন ইভেট কার্লিন(Ivet Ćurlin), আনা দেভিচ( Ana Dević), নাতাশা ইলিচ(Nataša Ilić), সাবিনা সাবোলোভিচ( Sabina Sabolović) এবং ডিজাইনার ও প্রকাশক দেজান করসিচ( Dejan Kršić)।

Available in
EnglishSpanishArabicFrenchHindiPortuguese (Brazil)GermanItalian (Standard)TurkishBengali
Date
18.03.2021
Source
Original article
Privacy PolicyManage CookiesContribution Settings
Site and identity: Common Knowledge & Robbie Blundell