Speeches

"সমন্বিত এবং সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিরক্ষা করতে হবে।"

উপমন্ত্রী আলভিন বোটস কপটতা এবং দায় এড়ানোর প্রবণতা থেকে আন্তর্জাতিক আইনকে রক্ষা করার জন্য একটি বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী, আলভিন বোটস কুয়ালালামপুরে একটি নতুন, ন্যায্য ও মানবিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা তৈরির বিষয়ে নিজের বিবৃতিতে এই যুক্তি দেন যে বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মিতআন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা আজ সংকটের অবস্থায় রয়েছে। এটি বাছাইকৃতভাবে প্রয়োগ, ক্ষমতার জোরে দায় এড়ানোর কারণে এবংসম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছে।  **মূল অংশ:**

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাননীয় আনোয়ার ইব্রাহিম, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাননীয় মোহাম্মদ হাসান, আইন ও প্রাতিষ্ঠানিকসংস্কার বিষয়ক মন্ত্রী মাননীয় আজালিনা ওথমান সাইদ, যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য মাননীয় জেরেমি করবিন ও অন্যান্য বিশিষ্টপ্রতিনিধিবৃন্দ;

"আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিরক্ষায় সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ" বিষয়ক এই বিশেষ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পাওয়া আমাদের জন্য সম্মানের বিষয় — এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের সমসাময়িক বৈশ্বিক নৈতিক ও রাজনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরে।

আমরা এমন এক সময়ে মিলিত হয়েছি যখন শান্তি, ন্যায়বিচার এবং বহুপাক্ষিকতার নীতিগুলো খুবই চাপের মুখে আছে। এটিসময়োপযোগী কারণ আমরা এমন জরুরি সময়ে মিলিত হচ্ছি যখন ভণ্ডামি, দায় এড়ানো এবং উদাসীনতার কারণে বৈশ্বিক শৃঙ্খলারভিত্তি হুমকির সম্মুখীন। দুটি বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মিত আন্তর্জাতিক আইনের মহান ইমারত আজ বাছাইকৃত নৈতিকতা, একতরফা আগ্রাসন এবং প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষাঘাতের ভারে কাঁপছে।

সুতরাং আমরা একদম সঠিক সময়ে মালয়েশিয়ায় একত্রিত হয়েছি —এটি এমন একটি দেশ যার ঔপনিবেশিকতা বিরোধী সংগ্রাম, সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক সংহতির ইতিহাসের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতার পথে যাত্রার অনেক মিল আছে। আজ আমরাযুদ্ধ, অসমতা এবং দায় এড়ানোর প্রবণতা দিয়ে বিভাজিত একটি বিশ্বের মুখোমুখি হয়েছি। আমাদের কেবল আন্তর্জাতিক আইনরক্ষার জন্যই নয়, সেই প্রতিরক্ষা গঠন করার প্রক্রিয়া নির্ধারন করতে যে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেয়া হবে তা পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলাহয়েছে।

এই আহ্বানটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য খুবই তাৎপর্য্যময়, বিশেষ করে এই মাসে। আমাদের জন্য অক্টোবর হলো তাম্বো মাস। এই মাসেআমরা আমাদের জাতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পিতার জীবন এবং ঐতিহ্য উদযাপন করি। অলিভার রেজিনাল্ড তাম্বো — বর্ণবাদেরবিরুদ্ধে সংগ্রামের সময় আমাদের বৈশ্বিক সংহতি গঠন করেছিলেন। তাম্বো প্রগতিশীল আন্তর্জাতিকতাবাদের মূল্যবোধকে ধারণকরতেন: যেমন- আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও এগুলোর প্রতিরক্ষা, বহুপাক্ষিকতার অঙ্গীকার এবং মজবুতআন্তর্জাতিক সংহতি।

তার জন্ম ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে গিয়ে আমাদের এটা খেয়াল রাখতে হবে যে ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা তৈরির সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সাথে শেষ হয় নি। বরং এটি সাংবিধানিক, আইনগত এবং নীতিগত ডিএনএতে ঢুকে গেছে। যতদিন পর্যন্ত ক্ষমতার জোরে আইন এবং নৈতিকতাকে দমন করা হবে এটি ততদিন চলতে থাকবে।

প্রগতিশীল বৈশ্বিক সামরিক শক্তির দ্বারা একটি ন্যায়সঙ্গত ও মানবিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা এখন আগের চেয়ে বেশিপ্রয়োজন। কারণ আমরা আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষয় এবং বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল হতে দেখছি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের সাম্প্রতিক বৈঠকে আলোচনার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রতিষ্ঠিতবৈশ্বিক শাসন কাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাষ্ট্রগুলো আবারো একমত হয়েছিল।

তারা আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের উপর ভিত্তি করে একটি নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা গঠনের বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ঐক্যমত্য সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক আইন এবং বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা আজ হুমকির মুখে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইনের এই অবস্থা এর প্রাসঙ্গিকতা এবং ভঙ্গুরতাকে প্রতিফলিত করে।

একদিকে, আজো আন্তর্জাতিক আইন আমাদের বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। এটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কেরকাঠামো সরবরাহ করে। এটি শক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে, মানবাধিকারকে রক্ষা করে এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক আইন না মেনে বৈশ্বিক ব্যবস্থা ক্ষমতার ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বাছাইকৃত আনুগত্য এবং আইনি নিয়মেররাজনীতিকরণের ভারে বিপর্যস্ত।

এখানেই আইন এবং আইনের প্রয়োগের মধ্যে সুস্পষ্ট তফাৎ দেখা যায়।

সম্ভবত গাজার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবের অন্যতম উদাহরণ।

আমাদের চেষ্টায় যে কোনো কমতি আছে তা কিন্তু নয়। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্যআন্তর্জাতিক আইন আছে। কেবল এর বাস্তবায়ন এবং বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলা নিয়ে কোনো জবাবদিহিতা নেই।

মাননীয় অতিথিগণ,,

আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষয় বিচ্ছিন্নভাবে ঘটছে না, বরং তা সম্মিলিত নেতৃত্বের সংকটের সাথেসম্পৃক্ত। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক, নৈতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাঙ্গন ধরেছে — এর মধ্যে আছে জাতিসংঘের সুরক্ষাকাউন্সিলের নির্বিকার থাকা থেকে শুরু করে বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা।

শান্তি রক্ষার জন্য যে কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল সেগুলো নিজেরাই আজ হেরে যাচ্ছে। বহুপাক্ষিকতার বৈধতা ভূ-রাজনৈতিকপ্রতিদ্বন্দ্বিতা, সুরক্ষাবাদের পুনরুত্থান এবং বৈশ্বিক উত্তর এবং দক্ষিণের মধ্যে আস্থার অভাবের ভুক্তভোগী হচ্ছে। আজ যখন বিশ্বের সবার সহযোগিতার প্রয়োজন, সেই সময়ে আমরা সবখানে বিভাজন এবং হয়রানি দেখতে পাচ্ছি।

এ কারণেই আইন, সংহতি এবং নৈতিক সাহসের ভিত্তিতে সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং একটি চাহিদা।আইনি বিধিগুলোর সমন্বিত প্রতিরক্ষা না থাকলে যারা এই আইন অমান্য করলেও শাস্তি পায় না, তারাই নতুন আইন তৈরি করতে চাইবে।

মাননীয় অতিথিগণ,,

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু ক্ষেত্র বাদে অন্যান্য পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ সনদ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের গুরুত্ব ঘোষণা করতেপারে না।

বিশ্ব সম্প্রদায় হিসাবে আইসিজে বা আইসিসির কোন বাধ্যতামূলক আদেশগুলো মেনে চলতে হবে এবং কোনটিকে অমান্য বা উপেক্ষাকরতে হবে তা আমরা বাছতে পারি না। জাতিসংঘের যে সিদ্ধান্ত বা চুক্তি মানতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেগুলো বা অন্যান্য সিদ্ধান্ত বাচুক্তিগুলো আমাদের সম্মতির যোগ্য কিনা তাও বুঝতে পারছি না।

কাজেই আসুন আমরা স্পষ্ট করে বলি যে ইসরায়েল রাষ্ট্রের মতো কিছু দেশ যখন কোনো রকম শাস্তি না পেয়ে জাতিসংঘ সনদ,আন্তর্জাতিক আদালত এবং জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করতে সক্ষম হয়, তখন আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং এর প্রশাসনেরদায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সহ আন্তর্জাতিক আইনের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং অখণ্ডতা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়।

আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের সুযোগ দিয়ে আমরা তাদের আইন লঙ্ঘনে সাহায্য করছি।

আমরা ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা দেখেছি তা কেবল গত দুই বছরে নয়্, বরং সাত দশক ধরে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতা থেকেআন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মকানুন- সবকিছু এড়ানোর সুযোগ দেয়ার মতো বোকামি করার কুফল।

মাননীয় অতিথিগণ,

এখন যদি আমরা সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের সবার কাছে একটাই বিকল্প আছে।

যখন আমাদের চোখের সামনে নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকরা মারা যায় বা অনাহারে থাকে তখন কি আমাদের চুপ করে থাকাউচিত?

আমাদের কি বৈধতা এবং নৈতিকতার নীতি বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতাকেই সবচেয়ে বড় বলে মেনে নেয়া উচিত?

আমাদের কি এমন একটি বিশ্ব চাই যেখানে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে (যাদের অনেকেই নারী ও শিশু) নির্বিচারে হত্যা করাস্বাভাবিক?

আমাদের নীরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তার মানে কী?

আমরা কি প্রতিদিন সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের হত্যাকে আর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেব?

আমরা কি গণহত্যা প্রতিরোধ করাকে আমাদের সবার মিলিত দায়িত্ব বলে মনে করি না?

মাননীয় অতিথিগণ,

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার হিসাবে, আমরা আমাদের সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা অনুসারে কাজকরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কাজেই গাজায় জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত, কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র হিসাবে গণহত্যা রোধে আমাদের আইনীবাধ্যবাধকতা পূরণ করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছিল।

যারা এই ভয়াবহ পদক্ষেপগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সেই বৈশ্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠের দলে।

আমাদের এই অবস্থানকে অনেকেই পপুলিস্ট, ব্লাড লাইবেল (মিথ্যা অভিযোগ), অবান্তর এবং ভিত্তিহীন হিসাবে উড়িয়ে দিতে চেয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে আজ দুই বছর পর আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। কারণ আমরা সবাই একমত হয়েছি যে গাজায়যা ঘটেছে তা আসলেই গণহত্যা।  এই সিদ্ধান্তকে অনেক সদস্য দেশ বার বার করে সমর্থন দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সমর্থকদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি এনজিও, যেমন- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচএবং বি 'সেলেম ইত্যাদি রয়েছে। সম্প্রতি পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল সম্পর্কে জাতিসংঘের স্বাধীনআন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনও একই কথা বলেছে।

মাননীয় অতিথিগণ,

আন্তর্জাতিক আইনের বিশ্বাসযোগ্যতা সংরক্ষণ এবং বজায় রাখার জন্য দেশ, সুশীল সমাজ এবং বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ সহআমাদের সকলের দায়িত্ব হলো ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সময় বাধা দেয়া।

এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনি শাসনের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সব রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করার লক্ষ্যে এই বছরের জানুয়ারিতে হেগ গ্রুপ গঠিত হয়েছে।

হেগ গ্রুপ এবং মাদ্রিদ গ্রুপের মতো দলগুলো একই জিনিস চায় — রক্তপাত বন্ধ করা, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তিরজন্য আলোচনা করা।

ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য ন্যায়বিচার প্রয়োজন, এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করা প্রয়োজন।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে যারা জাতিসংঘ সনদকে সমুন্নত রাখার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের চূড়ান্ত দায়িত্ব হলোফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার নিশ্চিত করা এবং রক্ষা করা। হেগ গ্রুপ এটাই করতে চায়।

আমাদের পদক্ষেপের জন্য ঐক্যবদ্ধ আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন, এবং আমরা আশা করি যে মাদ্রিদের সভায় অংশ নেয়া রাষ্ট্রগুলো সহ অন্য সব রাষ্ট্র ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার অবসান ঘটাতে এবং একটি ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বের জন্যএকত্রিত হবে।

আমরা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অবিচল ও সম্পূর্ণ আনুগত্য রেখে এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে এর পবিত্রতা রক্ষারজন্য একসাথে কাজ করি, একত্রিত করি এবং সংগঠিত করি বলে আমরা চাই যে আরো বেশি রাষ্ট্র আমাদের উদ্যোগে অংশ নিক এবংনাগরিক সমাজ আমাদের সমর্থন করুক।

মাননীয় অতিথিগণ,

আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিরক্ষাকে কেবল আলঙ্কারিকভাবে না নিয়ে একে সম্মিলিত ইচ্ছা,  সমন্বিত এবং সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমেবাস্তবায়ন করতে হবে। আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকা সহ বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নৈতিক কেন্দ্রপুনরুদ্ধার করতে হবে। শক্তিশালীদের তলোয়ার নয়, বরং দুর্বলদের জন্য ঢাল হিসাবে এই আইনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে,।

সুতরাং আসুন আমরা আমাদের জাতিগত বন্ধন জোরদার করতে, আফ্রিকান ইউনিয়ন, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, জি৭৭, চীন এবংহেগ গ্রুপের মতো বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো ন্যায়সঙ্গত,প্রতিনিধিত্বমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জবাবদিহিমূলক করে তোলার জন্য এই মুহূর্তটিকে ব্যবহার করি।

আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিরক্ষায় সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ শীর্ষক এই বিশেষ ভাষণের প্রতিপাদ্যকে সমুন্নত রেখে আমরা কোনোপূর্বনির্ধারিত নিয়মাবলীকে রক্ষা করছি না — আমরা সভ্যতাকে রক্ষা করছি। আমাদের সবার নীরবতা যেন আমাদের লজ্জার কারণনা হয়।

আসুন রাষ্ট্র এবং ব্যক্তি মিলে আমরা সবাই একত্রিত হই এবং সম্মিলিত সংকল্প ও সুস্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে একত্রে কাজ করি, যাতে আইনেরশাসন শক্তির শাসনের উপর জয় লাভ করে।

প্রতিবার অন্যায় হতে দেখে আপনার রাগ হলে তাহলে আপনি আমার সহযোদ্ধা (আর্নেস্তো চে গুয়েভারা)। আন্তর্জাতিক আইনকেউপেক্ষা করায় আপনার রাগ হলে আপনি আমার সহযোদ্ধা; বাছাইকৃতভাবে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ করায় আপনার রাগ হলেআপনি আমার সহযোদ্ধা; এবং প্রতিবার ইউএনজিএ, ইউএনএসসি, আইসিসি এবং আইসিজের সিদ্ধান্ত, অভিযোগ ও মতামতকে দমন করায় আপনার রাগ হলে আপনি আমার সহযোদ্ধা।

আপনাকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

Available in
EnglishSpanishGermanFrenchItalian (Standard)HindiTurkishRussianBengali
Author
Alvin Botes
Translators
Subrina Afrin and ProZ Pro Bono
Date
21.11.2025
Privacy PolicyManage CookiesContribution SettingsJobs
Site and identity: Common Knowledge & Robbie Blundell